সোহেল হাসান গালিবের ‘চৌষট্টি পাখুড়ি’র উন্মোচন

কবি, প্রাবন্ধিক সোহেল হাসান গালিবের ‘চৌষট্টি পাখুড়ি’ কাব্যগ্রন্থ উন্মোচন করা হয়েছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনের বাতিঘরে হয় এই অনুষ্ঠান। এ সময় বই উন্মোচনের সঙ্গে কবিতার নানা দিক নিয়ে আড্ডা ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সোহেল হাসান গালিব জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের কবিতাযাপন ও নিরীক্ষার ফসল হলো ‘চৌষট্টি পাখুড়ি’। বইটিতে পাঠকের বিশেষ অভিনিবেশ প্রত্যাশা করেন তিনি। কবির ভাষায়, ‘আয়ুরেখা মুছে মুছে এতটা এসেছি। ভয়ে ভয়ে।/ পুষ্প বা পাদুকা—কোনো চিহ্নই রাখি নি পিছে ফেলে।’

‘চৌষট্টি পাখুড়ি’ নিয়ে আড্ডা ও আলোচনায় অংশ নেন কবি ও অধ্যাপক শোয়াইব জিবরান, কবি ও কথাসাহিত্যিক মুম রহমান, অধ্যাপক মাসউদ ইমরান মান্নু, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, গবেষক ও প্রাবন্ধিক কুদরত-ই-হুদা, কবি বিধান সাহা ও কবি হাসান রোবায়েত।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বইটির প্রকাশক আদর্শ প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী মাহাবুব রাহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি আলমগীর নিষাদ।

চৌষট্টি পাখুড়ির পাখুড়ি মানে পাপড়ি। চর্যার সাধক বলা ‘একটি পদ্ম, চৌষট্টি পাখুড়ি’ থেকে এটি নিয়েছেন আজকের কবি। বইয়ের কবিতাগুলো একটি বিশেষ আঙ্গিকে লেখা, যা ‘অষ্টাদশী ফর্ম’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

চৌষট্টি পাখুড়ির দুটি পর্ব—ঘ্রাণ আর রেণু। সেখানে কী আছে, তা পাঠকের আবিষ্কারের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন কবি। বলা হয়েছে, ‘তারই কিছু পঙ্‌ক্তির আশ্রয়ে আমরা কেবল একটি সূত্র অনুসন্ধান করতে পারি। কন্যারাশি মেঘ ওহে, রৌদ্রনীল ক্রিস্টালের আকাশ পেছনে ফেলে রেখে অন্তত একটিবার ধূলিমগ্ন জীবনের দিকে চাও—এক বিন্দু জল তুমি দাও জিভের ডগায়।’