প্রিয় দশ

তার কথা

পথহারা এক পাখি-শিশু
                         খুঁজছে মাকে। 
চিৎকার করছে ভীষণ। 
কবি উইলিয়াম ব্লেকের যে ছেলেটি
কুয়াশাপ্রান্তরে 
              বাবাকে হারিয়ে ফেলেছিল
তার কথা মনে পড়ল আমার।


বাতাসের মালা

মরুভূমিতে 
           একফোঁটা বৃষ্টির মতন
এই কবিতা,
আমার জীবন
ঝিলিমিলি বাতাসের মালা।


এই মুহূর্তের কাজ 

মুছে নাও,
যতটুকু দাগ লাগে
                 প্রাণে,
মুছে নাও, পথ চলো।


তুমি

ধূলির প্রাতরাশ সেরে,
সকালবেলার
            খোলা হৃদয়ের পাশে
দাঁড়াই,
তাকিয়ে দেখি
তুমি।


থামলে চলবে না

পাড়ি দিতে হবে বহু দূর
                 সমুদ্র বিশাল বড় আজো
পিছন-জলের মাছ
আঁকাবাঁকা মুদ্রা এঁকে ডাকবে তোমাকে
থামলে চলবে না।


মেঘ

দূরের কোনো বিল্ডিং ছুটছে
আকাশের পাখি হয়ে


সেলামি হিসেবে  

এ তপ্ত জীবনে
              সেলামি হিসেবে আমি
যেসব পেয়েছি
              অভিমান, অনুভব, 
                           একাকিত্ব, শখ
ছাই হয়ে গেছে সব ‘ভস্মলীলা’ নাটকের রাতে
মূল্যবান যা-কিছু জেনেছি।


কী লক্ষে

এত যে দিন চলে গেল
                       পাখি হয়ে
সুদূরে,
এত আকাশ খোলা হলো
                       উচ্ছ্বাসে,
এত যে রোদ পাতা হলো
দিগন্তে,
         কী লক্ষে?


বার্ধক্য

মনে হয়, বসে পড়ি
                    মাটির নিচে কোথাও।
শক্তি নেই উঠে দাঁড়াই।
মাটির উপরে এত হাওয়া লাগে
ভয় পাই।


বার্তা

‘কে যেন ছিঁড়ে পড়েছে
                       মহল্লার উঁচু ডাল থেকে,
দড়ি কেটে গিয়েছে
                    মাঝখানে
যা দিয়ে সে বাঁধা ছিল
জীবনের সাথে।’
                   বলে
উড়ে চলে গেল দুপুরবেলার
                        একটা পাখি।
চারদিক নিস্তব্ধ।