পৃথিবীর শূন্যতম স্থান

পঞ্জিকায় মৃত্যুর সংবাদ

আজ রুক্ষ জীবন অজ্ঞাত অসুখে মরণাপন্ন
দিগন্ত হারানো নাবিক অকূলেই ভাসছে প্রাণ
হে জীবন ফুরাবে কবে নৈঃশব্দ্যতা
ঘন নির্জনতায় আমার পৃথিবী অন্ধ
এ যেন নুন ছাড়া ভাতের মতোই অক্ষুণ্ণ

পৃষ্ঠা ছিঁড়ে হারানো এক অখণ্ড জীবন
নিভৃত নীড়ে নিজেকে বিলিয়ে অনিদ্রায়-অনাহারে
নিজেকে খুঁজে পেতে পাড়ি জমিয়েছি
নীল থেকে নীলে, পাহাড় থেকে সমুদ্রে
বিপন্ন জীবনের অস্তিত্ব থাকবে রক্তাক্ত পথে


মানুষ যা পায় সবখানি ভুল

সমুদ্রের অতলে দাবানল, চেয়ে দ্যাখো
চেয়ে দ্যাখো—
সেই চোখের দাবানলে পুড়ছে শহর
খসে খসে পড়ছে নক্ষত্র, আকাশ।
তবুও—
যে জোছনায় স্নান সেরে তুমি ফিরবে নক্ষত্রের পথে
সমুদ্রে পাড়ে চেয়ে চেয়ে শরীর ভিজিয়ে—
ঝিনুক কিংবা শঙ্খ কুড়িয়ে—
পেয়েছো কী—দুঃখ, দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ।

তা ছাড়া মানুষ পায় বা কী?


কে কোথায় ক্ষতবিক্ষত

অর্ধেক জীবন—বাকিটুকু নোনাজল স্নান,
যতটুকু দূরত্ব বুঝো—তার চেয়ে নিকটে মৃত্যু
যতটুকু সম্ভাবনা দেখো—তার থেকে দূরে তুমি
দূরত্ব কেবল অন্ধকার ঘনকালো মেঘ—

এখানে যৌবন ফুলের মতো তোমাকে ছুঁতে চায়
হিমশীতল কিংবা বরফের কোমলতায়—
তুমি ফিরলে বৈশাখী
দূরে গেলে শূন্যতা—

এই ঝড় নিয়ে আমাদের পথচলা—
তবুও বেঁচে ছিলাম—পৃথিবীর পথ ধরে
ক্ষুধার্ত পথিকের বেশে—নির্মল গাছ
বেঁচে ছিলাম—পৃথিবীর শূন্যতম স্থানে