দোআঁশে স্বভাব জানি

প্রেম

ইটখোলার চুল্লিতে পুড়ে খাক হ
আমি দিব্যি করিব সংসার

তোর বালতি ভরা অশ্রুজলে
আমি করিব স্নান

তোর সুন্দর চোখ তুলে মার্বেল করে
বানাব কানফুল, দেখবে লোকে ব্যতিক্রম

তোর প্রেমে পোড়া কলিজা-ভুনা, অনামিকার টুকরা
নানরুটির সাথে আমার উপাদেয় প্রাতরাশ

মাংস ছিল্লা হাড়ে গহনা-চুড়ি
বাইন্যা শিল্পে নতুন সংযোজন

তোর অকাল দেবদাস-প্রয়াণে লিখিব এলিজি
তোর সমাধিতে রোপিব দেবদারু
বিরহ ‘লালন’ রশ্মি ছড়াবে মালবিকা।


স্বভাব

বেশ ভাসিয়েছিলে উত্তাল ঢেউয়ে
সাঁতার কেটে তীরে ভিড়ি নদী গাঙ্গের মানুষ আমি

লাভ ক্ষতির হিসাব খুঁজিনি অগাধ স্রোতে
রক্তে মাংসে সোমত্ত পেশিতেও ঢেউ খেলে
প্রমত্ত স্রোত ভেঙে উজানের তীরে ভিড়ি

গড়ে নিতে পারি নিজেই নিজের জীবন-কর্তাকে।

চর-জমিনের নটী বাড়ির বেটি
বহু পলির দোআঁশে স্বভাব জানি

এখন তুমি অন্য কোথায় অন্য কেহ।


মেঘ ঝরে অশ্রুর মতো

অতঃপর মেঘও ঝরে যায় অশ্রুর মতো
আকাশ মুক্ত হয়, মানুষ হাসে ফুলের মতো।

আমার মেঘেরা প্রতিদিন শিলাস্তরে জমাট বাঁধে
গহীনের অতলান্তে
বৃষ্টির বীজ বুনব বলে হৃদজমিনে লাঙল চালাই
অথচ
তুমি সাদা মেঘের জ্যোৎস্না বিলাও
কাশবনে বিজন অরণ্যে।