উষ্ণ কোনো স্পন্দনে

অদ্বিতীয়া

হৃদয়ের জানালা খুলেছি তোমারই চোখে,
দেখে একমাত্র আমার অনুভব একান্তে।
তীক্ষ্ণতা পার করে যে শিহরন ঢলে বুকে,
যেন দুজন কী আপন দুজনার অজান্তে।
মন খারাপের উপহার আনে অসময়,
হয়ত একাকী হয়ত সে অকারণে একা।
তবু কী বিপন্ন সেজে থাকে অদ্ভুত হৃদয়,
পুলকিত আশা ঝরে যেন জ্বলছে তারকা।
আমাদের এই মহাবিশ্বের গাঢ় শূন্যতা,
নিকষ স্বপ্নের মাঝে যেন সে অলীক মায়া।
প্রেমের নিয়ম কেবল দেবে সে স্বাধীনতা,
তবুও তোমাতে ফিরে ডাকে তুমি অদ্বিতীয়া।


নৈর্ঋতের পূর্বে ভোর

ভালোবাসা ফিরে এলে, জ্বরে ডেকে বলে শ্বাস। উষ্ণ কোনো স্পন্দনে; ঘুমের রাজ্য কী আসে না? তবু জেগে ওঠে গম্ভীরা। কোনো ডাক অতিথি হয়ে; পাখির মতো উড়ে বেড়ায়।

ফুলের দিকে চেয়ে; জেগেছিলে তুমি। মরে যাবার পূর্বে রেখে তার চিহ্ন! খোঁজ নিয়ে জেনেছি কোনো মুহূর্ত—কখনো বেদনার কাছে ফোটে থাকে রডোডেনড্রন। মুখচোরা কোনো কথায়, পাওয়া যেতে পারে আভা সন্ধ্যার কুয়াশায়।

ড্রাগন ফলের বিন্দুমাত্র, চোখের নিচে সুরমা; ডেকেছে আজন্মকাল। ঘরোয়া না হওয়া ইচ্ছায়। যেন শত কাল ধরে আয়ুতে জেগে আছে মৃত্যুর বাসনা। যদি পাওয়া যেত কোনো মন, অজানা হায় কখন কে ডেকে আছে ভোরের পূর্বে।

জেগে ওঠা পাখির ডাকে কোনো শহরের গভীরে লুকিয়ে থাকা মোহর, আজন্ম তেপান্তরের পানে; উড়তে চাওয়া পাতা ও চায়ের চুমুকের গভীরে জেগে থাকা মধুরতা।

পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে তবুও আশ্চর্য ইচ্ছেরা ফুৎকারে চেয়ে থাকে। টানের দিকে যতটা যায় চোখ কালের পথে। আসমুদ্র ভাসতে থাকা, বালিতে ডুবে যাওয়া, পাথরের পার ভেঙে তলিয়ে, যাওয়া কোনো পথ! ফিরে এসে কোনো ব্যস্ততার সম্মোহনে কোনো জীবন থেকে তুমি চলে গেলে ফিরে আসে ঘোর, মায়ার মনোজগতে মনে ডাকে ভোর।