অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা

করোনাফুল

noname

আমি হাঁটছি—রাস্তা দৃঢ় হচ্ছে খুব...

হাঁটছি-হাঁটছি-হাঁটছি—ভাবছি-ভাবছি-ভাবছি

রাস্তা ঘনঘন বেঁকে যাচ্ছে; স্বর্গলেনের শেষ মাথায়

উড়ে যাচ্ছে স্বপ্নের পায়রা।

হৃদয়ের ইনবক্সে ছেড়ে দিয়েছো covid-19.

আমরা কি আবার ডাইনোসর হবো, নাকি

তুমি প্রিন্সেস ডায়না আর আমি ডোডি আল ফায়েদ!

 

পরাস্ত গোধূলির সন্দিগ্ধ সন্ধিপাঠে

নৃত্যরত চীনের রাজকন্যা;

আমি হাঁটছি—আমার কোমরে তোমার চোখ

কোমরে চিকচিক করছে সন্ধিহীন তলোয়ার।

তুমি হয়তো যুদ্ধের কৌশল শিখে গেছো অনেক আগেই;

আমি এখনো গলির বাঁকে-বাঁকে বেহালাবাদক।

 

কোমরজলে ঢেউ—নৃত্যের শব্দ—

নূপুরের চিলেকোঠা-হাসি,

মেয়েটি ডাক্তার—বিয়ে-বিয়ে গন্ধ—যজম হাসি;

সমবায়ী খামারে যোনির জিকির-জিকির গোঙানি।

তোমার চোখের তীব্রতা বিদ্যুতের চেয়ে ভয়ঙ্কর,

তুমিই তো জ্বালিয়ে দিচ্ছো আগুন;

বুকের পিঞ্জরে অবিরাম ফুটছে করোনাফুল।