অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা

জোছনার তোড়া বা উপমাফুল

noname

বালক, জ্যোৎস্না কেটে কার জন্য তোড়া বানাচ্ছো

কার জন্য বারান্দায় চাষ করছো উপমাফুল।

বালক, ভাবছো তুমি নদীগুলোকে শুশ্রূষা করে

তার ভেতর ঢেউ ফলাবে, ধরবে প্রাণবন্ত স্রোত।

বালক, যে শহর এখন ফুলেল উপত্যকার মতো সুধাময়

যে শহর ধরা দিচ্ছে একটি নীরব কচ্ছপের মতো;

তুমি ভাবছো, তাকে নিয়ে যাবে হোমারের কাছে

ভাবছো তাকে নিয়ে বসবে এরিস্টটলের সামনে।

তারপর চাষ করবে কবিতা, দর্শন, চিত্রকলা, সুর;

আর বড়শি ফেলে ধরবে ছোট-বড় হাসি-ঐশ্বর্য।

বালক, কত কত দিন খুন হয়েছে ধুলোর ভেতর;

তুমি কি জানো, লক্ষ লক্ষ সংসার মেশিনে ঢুকে

বেরিয়েছে ডলার হয়ে, বেরিয়েছে কান্না হয়ে;

বালক, তুমি উপমাফুল চাষ করো, ক্লান্ত হও

আর ভাবো, জোৎস্নার তোড়া বানিয়ে বলবে

তোমাকে দিলাম, তোমার কোন অসুখ নাই।