অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা

মধ্যবিত্তের সংকট

30

মনটা খুব অস্থির হয়ে আছে,

বাজারের থলিটা বিছানার পাশে রেখে যেতে যেতে বলে গেল বাজারের ফর্দ। আমার করুণ চোখগুলো ওর

পিছন পিছন ঘুরছে।

কীভাবে যে বলি, এ মাসে বেতনটা নাও

পেতে পারি আমি। বাড়িওলা একবার এসে

তাগাদা দিয়ে গেছে, কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছি। কিন্তু কীসের ভরসায় নিজেও জানি না। অবরুদ্ধ এ শহরে কারো কাছেই

সাহায্য পাবো না জানি। প্রায় শূন্য ম্যানিব্যাগটা নিয়ে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে এলাম। সাথে আছে বাজারের ব্যাগটা। ফাঁকা রাস্তায় এদিকে ওদিকে কিছুটা অমনোযোগীভাবেই ঘুরছিলাম। হঠাৎ চোখে পড়লো মানুষের তৈরি লম্বা এক লাইন। এগিয়ে যেতেই বুঝলাম কারা যেন দান করছে বেশকিছু খাবার। এগিয়ে গেলাম আমি, ভাবলাম আছিতো মাস্ক পরে, দাড়িয়ে পড়বো নাকি

লাইনে!

ঠিক তখনই কে যেন ডাকলো আমায়।

ফিরে দেখি, কাজের বুয়া হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে, বললো—ভাই করুনার জন্যি

যেতে পারি না, রাস্তাঘাটে খুব কড়াকড়ি। ভাবিকে বলেন, বেতনটা নিতে একবার যামুনে বাসায়। এখানে কী দেখেন ভাই?

আমরা কেমনে জিনিস নেই তাই!

আমি মরীচিকা দেখার মতো দূরে তাকিয়ে কিছুই না বলে চলে আসলাম সেখান থেকে। কোথায় যেন পড়েছিলাম, মধ্যবিত্তের সংকট, আজ উপলব্ধি করলাম।