উপলব্ধির চন্দ্রবিন্দু

উপলব্ধির চন্দ্রবিন্দু

একটা ভীতু প্রকৃতি গল্পের গর্ত থেকে উঠে আসা শেষ বাক্যটার নামেও লেখা যায় ভোর। অঝর বিরাম পাশে রেখে তাই শেষ করা যায় না স্তব্ধতার গান। চানরাতের সমান দুঃখ নিয়ে এক কাপ হাহাকার ভেঙে পড়ে টি-টেবিলে, ফুঁসে ওঠে সরোবর। আদাবর থেকে ফেরত আসা ঠিকানাহীন চিঠিও জানে—গন্তব্যহীন বেদনা কতটা ভ্রান্তির কতটা মর্মর।

অ থেকে চন্দ্রবিন্দু, কোথাও কোনো ফাঁকাপৃষ্ঠা নেই। জগতের সাথে তাই মিল দিতে চাই হাতউচানো পথের। বিতস্ত্র বিল থেকে কুড়ানো শামুকজন্ম লুকিয়ে রাখি ব্যক্তিগত ড্রয়ারে। ঈশপের গল্পে বেড়ে ওঠে চতুর সময়। ডেভিট হিউম নিশ্চয় বলবেন এবার, ‘মানুষ কি তবে ঘুমায়?

‘মানুষ’ বুঝতে গিয়ে মানুষের বিরুদ্ধে যায় মানুষ। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় রাষ্ট্র। আমিও আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ভাবি, রাষ্ট্র ও মানুষের মাঝে যে ফাঁকা জায়গায়টা, ওটা এখন কার বাড়ি?