পেঁপে
বহুদিন স্পর্শ বঞ্চিত পথিক।
পথে যেতে যেতে চোখ তার বেয়াড়া।
পড়ে যায় সবুজ শাড়ি পরা হলুদ কন্যার দিকে।
ছাতার নিচে যেন তন্বী বোনেরা।
বহু দিন আগে পথিক উত্থিত যৌবন
হাতের মুঠোয় পুরে রওয়ানা হয়েছিল
প্রেমিকার বাহুলগ্ন হতে।
নগ্ন দেহমন্দিরের গোপন হেরায় যে লাল টুকটুকে
অঙকুর দেখে চমকে উঠেছিল প্রবর।
সে আজ একইভাবে চমকে উঠল
এই ঠা ঠা রোদের হলুদ দুপুরে।
একই জিহবা লেহন করে দুজনকেই।
সুখে ও সম্ভোগে পুজিত গভীর।
রোদ
সর্বত্র বিশ্বচরাচরে রোদ বড় নিঃসহায়।
ঘরহীন বেদুইন। পথে প্রান্তরে সমুদ্রে বা শ্যামলে
কারখানায় কী-বা বন্দরে কী-বা মহাসড়কে
রোদ দৌড়োয় ঘরের সন্ধানে পরিযায়ী।
তাই খোলা পেলেই গৃহস্থের ঘরের জানালা
বা দরজা, ঢুকে পড়ে নীরবে পীড়িত রোদ।
এমনকি সামান্য ফুটো-ফাটা পেলেও সুড়ুৎ করে
ঢুকে পড়ে বেশরম রোদ। খোঁজে অন্ন খোঁজে আশ্রয়।
গৃহহীনদের লাজ-শরমের কী-বা বিলাস।
রক্ষপাল, রক্ষা করো
আমার বাড়ি সিরিয়ায়।
দামেশকের শহরতলি নিমাবুতে।
একদিন যখন দুপুরবেলা
বাবার সাথে বসে রুটি খাচ্ছিলাম
হঠাৎ করেই পৃথিবী কম্পিত হলো।
রক্ষপাল, রক্ষপাল রক্ষা করো!
আমার বাড়ি কান্দাহার।
অর্ঘন্দব নদীতে আমি কেটেছি সাঁতার।
সেই নদীর পানি ক্রমশ লাল।
পানীয় জলের বড় অভাব।
রক্ষপাল, রক্ষপাল রক্ষা করো!
আমার বাড়ি নাসিরনগর।
তিতাস আমার বোন।
আমার নাম ঝুমন।
রক্ষপাল, রক্ষপাল, তোমার বাড়ি কোথায়?