কবিতা

ভূতাশন

যেভাবে আবার, যেভাবে বারবার মাটির পাত্রচাপা ওই ভ্রূণ বেড়েছে যে যার মতো... অঙ্গ অঙ্গ বিকলাঙ্গ, সেইভাবে সেভাবেই গড়ে ওঠা সে এক মানবশিশু কিংবা বাঁশের কোঁড় কি তোমার নাম দেবো বলো... খাদ্য নাকি লেলিহান খিদে নিয়ে সবকিছু গিলে খাওয়া ভূতাশন এক... অপুষ্ট শরীর থেকে ভাটির মতন দুই চোখ চেটেপুটে খায় স্নেহ, শুষে নেয় এক থেকে একাধিক নদী জনপদ... তবুও আবার, বারবার এফোঁড় ওফোঁড় তির... মা মরা শিশুর যেমন বহু স্নেহ বহু জলধারা কিছুতেই প্রলেপ দেয় না কোনো দিন... তুমিও তেমন... কণ্ঠে ভরে নিয়েছ তরল, কলমেতে নিয়ে আছ বিষ... ছড়ানো ছিটানো ওই বিধাতার অবিচারে অত্যাচারে ঘাড় বেঁকা উদ্ধত মানব শিশু, আপসের চারাগাছে ছড়িয়েছ যা দেবার ছিলো... দেবতা তোমার কাছে নতজানু খেলাভোলা তুলে দিতে চেয়ে... সেও তো চেয়েছে, যা হবার হয়ে গেছে, এবার আবার সব কিছু স্বভাবসম্মত হলে তীব্র তীক্ষ্ণ তির বেঁধা থেকে কোথাও মিলতে পারে অমোঘ পরিত্রাণ কিছু...

আজ আবার বহুপথ ধীর পায়ে হেঁটে চলে গেছ... যাবার আগেই ওইখানে নিয়েছ কি তুমি, কিছু স্নেহ কিছু প্রেম শীতল হবার ভালোবাসা... সিঞ্চিত শান্তিজল আজ কি তোমায় ছুঁয়েছে... এ ভীষণ গ্রীষ্ম দুপুরে তারাও শুকিয়ে গেছে নাকি, জানবো জানবো করে জানা তো হলো না আর... ওই দেখো দূরের আয়নায় দোলায়িত ওই কে ও... চিনতে পেরেছ বোধহয়...