কবিতা

হিমনগ্ন বালিকারা

চিহ্ন

বৃক্ষকে দূরত্বে রেখে নদীর জলে সাঁতার কাটছে মাছ। অতীতমুখী একটি নৌকা একাকী শুয়ে আছে তীরে।


দ্বিধা 

জোছনার ভেতর একটি পূর্ণ চাঁদ অন্ধকারকে আড়াল করে বসে আছে। 


ছেদ

মৃত্যু একটি অচঞ্চল স্পর্শ। তুমি তাকে ফেলে এসেছ দূরে। জলের উপর দৃশ্যমান ক্ষয়িষ্ণু আকাশ। 


যাপন

শরীরের ভ্রূণটি মরে গেলে ছায়াকে দীর্ঘ করে শুয়ে থাকে শীতার্ত সময় । 


লয়

প্রতিটি স্মৃতি-রেখা আলাদা আলাদা। মৃত্যু ও মায়ার ভেতর সন্ধ্যা ফুল ফুটে আছে।


গ্রন্থি

নুড়িপাথরের সাথে জলকাঁকড়ের খেলা। মাছ ও মাঝিদের সমুদ্র যাপন। ডানার জল মুছে ফেলে ডুবে যাচ্ছে নদী।


ঊনস্মৃতি

নতজানু সন্ন্যাসীরা ভেঙে পড়া জাহাজের গলুই। রমণচিহ্ন অস্পষ্ট রেখে হেঁটে যাচ্ছে কামার্ত ময়ূর।


ছাপ

ভোজনবিলাসী পিঁপড়ারা সময়কে ভাগ করে খেয়ে নিলে নিঃসঙ্গ মাটির পুতুল পড়ে থাকে শূন্যতায়।


টান

ভাঙ্গা মাস্তুল থেকে সমুদ্রের কান্না উঠে আসে। তামাটে অন্ধকারের ভেতর দিয়ে ভেসে যায় সাম্পান।


মিথুন

পাথরের আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে আগুন। লুকানো উত্তাপ। হাতের উপর হাত রেখে ঘুমিয়ে আছে নদী।