কবিতা

ব্যক্তিগত

ব্যক্তিগত : ১৮৮

এক আধজন সরীসৃপ, সুচ ও সুতোয়
নামিয়ে আনে নৌকাবিহার, দরজা-জানলার সাথে
আমার গ্লুকোজ ও অষ্টাদশ পুরাণ, অল্প জল
পান করে, বৃষ্টি হলে, গাছেরা চুপিচুপি জলে নামে।
তিমি মাছের সাথে গল্প জুড়ে দেয়।
কান পাতলে তুমিও তা শুনতে পেতে নিশ্চিত।
আজকাল প্রায় প্রতিদিন ডাক্তারেরা ডেল্টা...
ডেল্টা... বলে চিৎকার করে ওঠে। সেই
ব-দ্বীপের আলো এবং অন্ধকার হয়তো তারা
চেনেই না, মৃত্যু ও জীবনের মধ্যে
যে কটা দিনও ত্রিপিটক চুপচাপ ঘুমিয়ে থাকে,
তাদের তৃতীয় পৃথিবী দাও।
দাও নিজেই বয়ে আনা নিজের জীবনের
অল্প-বিস্তর ছায়া অথবা পুণ্য সকল।



ব্যক্তিগত : ১৮৯

মানুষের ডাকনাম হারিয়ে গেলে, অল্প
কাত হয় কে সি নাগের অঙ্ক বই
কাত হয় পায়েসের বাটি। আলনায়
ভাঁজ করে রাখা মা’র শাড়ি, অনেকটা
পৌষ সংক্রান্তি। জীবনের গান গাইতে
গাইতে, হেঁটে যায়, দু’ভাগ হওয়া পৃথিবী।
কয়েকজন দুঃখ তাকিয়ে আছে এক
        দুঃখী মানুষের দিকে।
কিছুদিন হলো হাসপাতালের কান্না
আর শোনা যাচ্ছে না। সকালের প্রথম
আলো ও আমাদের বয়স, গড়িয়ে যাচ্ছে
সম্ভাবনার দিকে, অতিথিপরায়ণ ছায়া,—
একজন দু’জন করে গড়িয়ে যাচ্ছে
সত্যপীরের পাঁচালি লক্ষ্য করে।