রাষ্ট্র ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই আমার বিরুদ্ধে রিট: নোবিপ্রবি উপাচার্য

নোবিপ্রবি উপাচার্য ড. এম ওহিদুজ্জামান

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের বৈধতা নিয়ে রিট করায় দায়িত্বরত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান মন্তব্য করেছেন,‘রাষ্ট্র ও সরকারকে বিব্রত করার জন্য এ রিট দায়ের করা হয়েছে।’ রিট দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

উপাচার্য আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আমাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। আমি নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকে সততা,নিষ্ঠা, মেধা ও দক্ষতার সঙ্গে আমার দায়িত্ব পালন করে আসছি।’

সম্প্রতি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.আনোয়ারুল বাশার উপাচার্য ড. এম অহিদুজ্জামান এর নিয়োগের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের নানা জায়গায় সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। এটি তার অংশ। তবে রিটের ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত নিবে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমি তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেছি এবং তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিশেষ জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা আছে বলেই আমাকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন।’

এদিকে, বিচারপতি মো. আশরাফুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ উপাচার্য ড. এম অহিদুজ্জামান এর নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তিনি কোনও কর্তৃত্ববলে নোবিপ্রবি'র ভিসি পদে বহাল আছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন এবং সংশ্লিষ্টদের এই রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ওই রিটে বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ১০(১) অনুযায়ী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ করার বিধান রয়েছে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রিটকারী ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল বাশার এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ফোন কেটে দেন।

/এমডিপি/টিএন/