ধর্মঘট পালন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘পায়ে ধরি স্যার, দয়া করে পরীক্ষা নিন, সেশনজট থেকে মুক্তি চাই, শিক্ষকদের রাজনীতির বলি কেনো আমরা, সমাবর্তনে অংশ নিতে চাই’ এমন পোস্টার ও ফেস্টুন দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইবির সিএসই বিভাগের অনার্স এবং মাস্টার্সের পাঁচ বর্ষের মোট আটটি ব্যাচ রয়েছে। ওই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এখনও ৪র্থ বর্ষে এবং বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এখনও তাদের পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি। এতে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ৪র্থ সমাবর্তনেও অংশ নিতে পারছেনা তারা। এছাড়াও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের (অনার্স) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা হয়নি এখনও। কোনো ব্যাচেই নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় ২-৩ বছর করে সেশনজটে ভুগছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, বার বার পরীক্ষা কমিটি করে দেওয়া হলেও নিজেদের ভেতর কোন্দলের কারণে পদত্যাগ করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘বিভাগের শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিংয়ের ও রাজনীতির কারণেই সেশনজটের কবলে পড়ছি আমরা।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আগামীকাল বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবো।’