জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় জিসান আহম্মেদ (২৪) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবেরুনি হলের কর্মচারী মো. নজরুল ইসলামের মেজো ছেলে।
সোমবার (৬ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাম বরকত ও তাজউদ্দিন হলগামী সড়কের পাশের একটি গাছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
আলবেরুনি হলের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিসান পরিবারের সঙ্গে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কলাবাগান এলাকায় আনসার ক্যাম্পের পেছনে থাকতেন। তাদের বাড়ি শেরপুর সদর থানায়। স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে গরুর খামার দেখাশোনা করতেন। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে জানা গেছে।
ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ লাশ নিতে চাইলে পরিবার অস্বীকৃতি জানায়। তখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায় পুলিশ। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর দাবির মুখে লাশ রেখে যায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ‘যে ছেলেটি আত্মাহত্যা করেছে সে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীর ছেলে। তার বাবার কোনও অভিযোগ নেই। তারা ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দিতে রাজি হয়নি। আমরা পুলিশের কাছে পরিবারের দাবি তুলে ধরেছি। লাশ যাতে ময়নাতদন্তের জন্য না নেওয়া হয়, সেই ব্যাপারে সহায়তা করেছি। পুলিশ অযথাই আমাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছে।’
আশুলিয়া থানার এসআই জিএম আসলামুজ্জামান বলেন, ‘মা-বাবা বলেছেন ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। তাই আমরা ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নিতে চেয়েছিলাম। তবে পরিবারের কোনও অভিযোগ ছিল না। তারা লাশ দিতে চাননি। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হবে।’