আইইউটির ভিসির অপসারণ দাবি





ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভিসির অপসারণ দাবিতে আন্দোলনগাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভিসির অপসারণ দাবিতে বুধবারও (২৪ জানুয়ারি) ক্লাস বর্জন ও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ভিসি প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নুর যাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য তারা প্রধান ফটকে তালা দিয়ে রাখে। এর আগে মঙ্গলবার আন্দোলনরতদের বাধার মুখে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রায় ৫ ঘণ্টা গেটের বাইরে অপেক্ষার পর ঢাকায় ফিরে যান।

আইইউটি ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ও অন্দোলনরতরা জানান, তারা কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়নি। তবে, এদিন ভিসি প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ আইইউটির গেটে আসেননি।

আইইউটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মনির হোসেন ও তসলিম রেজাসহ আন্দোলনরতরা জানান, আইইউটির ভিসি পদে প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নুর ২০১৬ সালে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম করছেন। এ কারণে ভিসির অপসারণের দাবিসহ ১৩ দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন শুরু হলেও বর্তমানে ‘ভিসি হটাও’ এক দফা আন্দোলন চলছে।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভিসির অপসারণ দাবিতে আন্দোলনএ প্রসঙ্গে আইইউটির ভিসি প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও বহির্বিশ্বের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতেই কিছু সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আমার বিরুদ্ধে তাদের আনা কোনও অভিযোগই ঠিক নয় এবং সবগুলোই ভিত্তিহীন। যে ইস্যু নিয়ে তারা আন্দোলন করছেন তার কোনও ভিত্তি নেই। এছাড়া আন্দোলনকারীরা তাদের যৌক্তিক কোনও দাবি নিয়ে আমার কাছে কখনও আসেননি। তারা ওআইসির ড. ইউসেফ বিন আহমাদ আল-ওথাইমিন’র কাছে নানা অভিযোগ জানিয়ে আমাকে অপসারণ দাবি করে। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোহাম্মাদু ওমারু’র নেতৃত্বে ওআইসির ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’র তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আইইউটিতে আসেন। তারা গত ১৭-২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত করে গেছেন। তাদের তদন্ত রিপোর্ট এখনও প্রকাশ হয়নি। ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ার আগেই তারা আমাকে অপসারণের আন্দোলনে লিপ্ত হয়েছে। এটা উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলক।