‘মাছের সঠিক ব্যবস্থাপনায় বছরে বাঁচবে ১৮ হাজার কোটি টাকা’

বাকৃবির কর্মশালাআমাদের দেশে মাছ ধরার পরে সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার বিষয়ে মৎস্যচাষীদের জ্ঞান নেই বললেই চলে। ফলে অনেক সময় মাছ পচে যায়। এতে মৎস্যচাষীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্প্রতি গবেষণায় জানা যায়, মাছের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে বছরে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ নষ্ট হয়। এতে প্রতি বছরে ১৮ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। মাছের সঠিক ব্যবস্থাপনায় বছরে বাঁচতে পারে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও চাহিদার তুলনায় মাছের বেশি উৎপাদন হওয়ায় বাজারে মাছের ন্যায্যমূল্যে মৎস্যচাষীরা পাচ্ছে না। এজন্য প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে মাছের বহু ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশে রফতানির বাজার করতে হবে। সোমবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি)  মৎস্য বিষয়ক কর্মশালায় মৎস্যবিজ্ঞানীরা এইসব কথা বলেন।

মাছের সহজ ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি এবং মাছের খাদ্যে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের প্রভাব বিষয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়ানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে ওই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. এম.এ.ম. ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর মো.জসিমউদ্দিন খান, সম্মানিত অতিথি হিসেবে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়াইস কবির এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. মো. মোশাররফ হোসেন ও ড. মো. নুরুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ময়মনসিংহের মৎস্য বিভাগের মো.মিজানুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শতাধিক শিক্ষক, গবেষক  ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।  

এতে মাছের খাদ্য, উৎপাদন, রোগ  ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিনটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। স্বাদুপানির মাছ ধরার পরবর্তী করণীয় ও প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি সেই বিষয়ে গবেষক প্রফেসর ড. এ.কে.এম. নওশেদ আলম আলোচনা করেন।  তিনি বলেন, মৎস্যচাষী ,মাছের আড়ৎদার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত। ভোক্তা পর্যায়ে যাতে ভেজালমুক্ত টাটকা মাছ পেতে পারে সেই ভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এরপর মুক্ত আলোচনা করা হয়। এতে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও মৎস্যচাষীরা প্রশ্ন করেন। পরে গবেষকেরা প্রশ্নোত্তর প্রদান করেন।