চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ১১টি পদের মধ্যে সভাপতি-সম্পাদকসহ আটটিতে বিজয়ী হয়েছেন তারা। বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। বাকি তিন সদস্য পদে জিতেছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে রাত পৌনে ১০টায় ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদে পদ রয়েছে ১১টি। এর মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ আটটিতেই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল। বাকি তিন পদে বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।
নির্বাচিতরা হলেন
হলুদ দলের সভাপতি প্রার্থী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগের অধ্যাপক শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আইন বিভাগের অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান, যুগ্ম সম্পাদক ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল আলম, ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ উদ নবী ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এএসএম বোরহান উদ্দিন।
সদস্য পদে নির্বাচিত হলুদ দলের তিন বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম মনিরুল হাসান, পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম রেজাউর রহমান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এসএম সাদাত আল সজীব। তারা সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতারপন্থি বলে পরিচিত।
৯২৯ ভোটারের মধ্যে ৭৮২ জন এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ভোট গণনা শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছি। এবার শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেননি বিএনপিপন্থি সাদা দলের প্রার্থীরা।’