জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি  ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো- সভাপতি তরিকুল ইসলাম গ্রুপের কর্মী ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র আবু সুফিয়ান। তিনি ২০১৬-২০১৭ সেশনের ছাত্র। অপরজন হলো সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল গ্রুপের কর্মী নৃবিজ্ঞান বিভাগের হাসান। তিনি ২০১৭-২০১৮ সেশনের ছাত্র।

প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে কনসার্ট চলাকালে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সেক্রেটারি শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল গ্রুপের ১২ ব্যাচের এক ছাত্রের সঙ্গে সভাপতি তরিকুল ইসলাম গ্রুপের ১৩ ব্যাচের একজনের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এরপর সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীদের ওপর সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমণ করে। এতে আহত হন সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের কর্মী হাসান। পরে সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের ওপর সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরাও আক্রমণ করে। এতে আহত হন সভাপতি গ্রুপের আবু সুফিয়ান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফা সংঘর্ষের পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতেই আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সাধারণ সম্পাদক তার দলবল নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও কোতোয়ালি জোনের এসি বদরুল হাসান রিয়াদ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে আনুমানিক রাত ১০টার দিকে জবি সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামালের সহযোগিতায় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে কেন্দ্র করে দিনভর ক্যাম্পাসে উৎসব মুখোর পরিবেশ বিরাজ করছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ বছরে পদার্পণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও শুরু হয়। এর প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর দুই গ্রুপের কর্মীদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তপ্ত হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এতে একসময় উৎসবে ভাটা পড়ে।

জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,  ‘ক্যাম্পাসে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে তা সমাধান করে দিয়েছি। এখন কোনও সমস্যা নেই।’