ঢাকায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সামিট’ অনুষ্ঠিত

বিশ্বের ৩৫ টি দেশের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। রানার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ও ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনস (ইউডিইএফ) এর আয়োজনে ২১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ডা. মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশে অধ্যয়নরত বিদেশি ও দেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘১২তম ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সামিট ২০১৯।’

thumbnail

সামিটে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউএন উইং এর ডিরেক্টর জেনারেল নাহিদা সোবহান, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: আতিকুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের ডেপুটি হেড অব মিশন এনিস ফারুক এরদেম, ইউডিইএফ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আসলান বেকিরোগলু ও এশিয়া কোঅরডিনেটর মো: সালাহ উদ্দিন এবং রানার বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শাফীকুল হাসান ও পরিচালক আশরাফী হাসান। 

দিনব্যাপী আয়োজনের বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অব হাইয়ার এডুকেশন মো: তৌহিদুর রহমান, বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ ফর পলিসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ যোবায়ের, পার্টনারশিপ স্পেশালিস্ট জিনাথ সুলতানা ও অন্যান্য আলোচকবৃন্দ। 
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার সুবিধাসমূহ তুলে ধরা হয়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র হিসেবে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়া সামিটে আগতশিক্ষার্থীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় হয়।

উল্লেখ্য, উচ্চশিক্ষা প্রদানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কম খরচে পড়াশোনার সুযোগ দিতে সক্ষম দেশের নামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। যার ফলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এখন অনেক ভিনদেশি শিক্ষার্থী পড়তে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ২০১৭ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন মতে, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৪৩৮ জন।