এই সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ শামিমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ ও সহযোগী অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদারসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা একটি দ্রুত সম্প্রসারণশীল বৃহদায়তন বাজেট প্রস্তাব করেন যার আকার হবে ১২ লক্ষ ৪০ হাজার ৯০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেটটি আসন্ন সম্ভাব্য জাতীয় খসড়া বাজেটের (৫ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ২.৬৭ গুণ বৃহৎ। তবে এই বৃহৎ বিকল্প বাজেট বাস্তবায়নে বিদেশি নাগরিকের উপর কর, সেবা থেকে প্রাপ্ত কর, সম্পদ কর, বিমান পরিবহন ও ভ্রমণ করসহ আয়ের ২০টি নতুন খাত উপস্থাপন করেছেন আলোচকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয় থেকে ৮১ শতাংশ বা ১০ লক্ষ ২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট ১৯ শতাংশ বা ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা ঘাটতি অর্থায়ন হবে সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্ব (মোট ১লক্ষ কোটি টাকা, যেখান থেকে ঘাটতি অর্থায়নের ৪২%), বন্ড বাজার (৬৪ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা যা ঘাটতি অর্থায়নের ২৭%), সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ গ্রহণ (৫০ হাজার কোটি টাকা যা ঘাটতি অর্থায়নের ২১%) এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ (২৩ হাজার কোটি টাকা যা ঘাটতি অর্থায়নের ১০%)এর মাধ্যমে।
শূণ্য শতাংশ বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা প্রস্তাবিত এই বাজেটের বিশেষ দিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনায় কর প্রসঙ্গে অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ শামিমুল ইসলাম বলেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর সাধারণ মানুষের উপরই বর্তায়। তাই আমরা এই খাতে চাপ নিরসনে প্রস্তাব করছি।'
পূর্বের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বৃহদায়তন বাজেটের গ্রহণযোগ্যতা বা বাস্তবায়নের সক্ষমতা সম্পর্কে অধ্যাপক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ বলেন, 'আমরা দুর্নীতি, কালোবাজারি ইত্যাদি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে ধরে বাজেট প্রস্তাব করছি। যদি সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, আমরা সবাই সৎ হয়ে কাজ করি তাহলে বৃহৎ বাজেটও ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখতে পারি। নয়তো সম্ভব হবে না।