‘নদী রক্ষা করতে না পারলে দেশি মাছ বিলুপ্ত হবে’

BFRI picবাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অধিকাংশ নদীই মরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে কিছুটা পানি থাকলেও অন্য মৌসুমে পানি থাকে না বললেই চলে। এইসব নদী রক্ষা করতে না পারলে আমাদের দেশি মাছ বিপন্ন হবে। ইতিমধ্যে দেশীয় ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত প্রায়।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) অডিটোরিয়ামে ‘মৎস্য প্রযুক্তি সম্প্রসারণে গনমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় একথা বলেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।

কর্মশালায় বাংলাদেশের মৎস্যশিল্পের বর্তমান অবস্থা, মৎস্যশিল্প ধ্বংসের কারণ, নদী-নালায় মাছ চাষের জন্য অভয়ারণ্য তৈরির প্রয়োজনীয়তা এবং মাছ চাষে বর্তমানে কি কি নতুন প্রযুক্তি ও জাত উদ্ভবিত হয়েছে তা সাধারণ মানুষের নাগালে নিয়ে আসার জন্য গনমাধ্যমের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে।

বিএফআরআইয়ের গবেষণায় পাবদা, গুলশা, টেংরা, গুতুম, মেনি, মহাশোল, কুচিয়া, দেশি, পুঁটিসহ প্রায় ১৯ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করা হয়েছে।

মৎস্য অধিদফতরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে এসব বিলুপ্তপ্রায় মাছ চাষ সম্প্রসারিত হওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাজারে এসব মাছের দামও ক্রমশ কমেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ এবং ইলিশ মাছ উৎপাদনে প্রথম। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের এ সাফল্য অর্জনে বিএফআরআইয়ের অন্যতম ভূমিকা রয়েছে।

কর্মশালায় বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিম উদ্দিন খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. নুরুল্লাহ, ড. মো. খলিলুর রহমান ও ড. এ.এইচ.এম কোহিনুর।

এছাড়াও উক্ত কর্মশালায় ময়মনসিংহ বিভাগের ৮০ জন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে মাঠ পর্যায়ে ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি কেন্দ্রে চলমান গবেষনা কার্যক্রম ও অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সাংবাদিকরা।