‘নদী বাঁচাতে উৎসমুখ খুলে দিতে হবে’

IMG_20190717_150151‘সরকার চাষাবাদ ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য যে প্রকল্পগুলো হাতে নিয়েছিল, সেগুলো এখন গলার কাঁটা হয়ে গেছে। এসকল প্রকল্প নদীর উৎসমুখ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তাই নদী বাঁচাতে নদীর উৎসমুখ খুলে দিতে হবে।’ রিভারাইন পিপল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উঠে আসে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে ‘জিকে প্রকল্প অঞ্চলের নদ-নদী সুরক্ষা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তারা। সংগঠনটির আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক রবিউল হোসেনর অনুর সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক আলতাফ হোসেন রাসেল। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মুঈদ, সদস্য সচিব ওবাইদুল হক, শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম, কুমার নদ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ মারুফ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন,  মূলত জিকে প্রকল্প অঞ্চলের যে ৮ টি নদী আছে তা এই প্রকল্পের কারণেই মারা যাচ্ছে। এখানের উৎসমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়াই এর মূল কারন। এছাড়া স্থানীয় দখলদারদের উৎপাত রয়েছে। নদী বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে মানুষ ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীল পড়ছে। ফলে আরও কয়েকবছর পর এই প্রকল্পই বিকল হয়ে পড়বে। এই প্রভাব সুন্দরবন পর্যন্ত পৌছে যাবে এবং পরিবেশের মারত্মক বিপর্যয় ঘটবে।

এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন,  অবস্থা থেকে উত্তরণে নদীর উৎসমুখ খুলে দেওয়া ও নদীর দ্বৈত প্রবাহ সৃষ্টি করে সাইফুন ব্যবস্থা চালুর দাবী জানান তারা।