জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুদ্বীপের বটতলায় ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোর আয়োজনে হয়ে গেল তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব। ১৫ অক্টোবর শুরু হওয়া এই উৎসব শেষ হয় ১৭ অক্টোবর।
লালন স্মরণোৎসবের আয়োজকরা এটিকে কেবল গানের আসর হিসেবে নয়, আন্দোলন এর অংশ হিসেবে ঘোষণা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশ নষ্টের বিরুদ্ধে লালন স্মরণোৎসবের শিরোনামে বসে গানের আসর। যেখানে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে শিক্ষকরাও অংশ নিয়েছেন।
উৎসবের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষক দ্রাবিড় সৈকত। তিনি বটতলার তাৎপর্য তুলে ধরে পুকুর ও শতবর্ষী গাছ রক্ষায় প্রশাসনকে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে প্রাণ প্রকৃতি রক্ষা করে উন্নয়ন কাজ পরিচালনার আহ্বান জানান।
বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সংগঠনের মধ্যে গ্রিন ক্যাম্পাস, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ছাত্রলীগ, বারামখানা, উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠন একাত্নতা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্যে যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল সেখানে শতবর্ষী বটগাছ ও পুকুর রয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বটগাছ রক্ষার ঘোষণা দিলেও পুকুর রক্ষার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত পোষণ না করে পুকুরটির কিছু অংশ পূর্বাবস্থায় রেখে কাজ করার ঘোষণা দিয়ে প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে। প্রতিবাদ হিসেবে শিক্ষার্থীরা এক মাসব্যাপী আন্দোলনের ডাক দেয়। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করা হয়।