সিআইইউকে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা দেবে সিউল ইউনিভার্সিটি

CIU-KOREA PHOTO-20.11.2019দেশের ও দেশের বাইরে গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটাতে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে যৌথ কার্যক্রম শুরু করেছে কোরিয়ার খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

কেবল গবেষণা নয়, শিক্ষার্থীদের আরও দক্ষ ও চৌকষ করে গড়ে তোলা, স্কলারশিপের মাধ্যমে মেধার বিকাশ ঘটানো, কর্মমুখী পাঠ্যসূচি বাস্তবায়ন, ক্যাম্পাস পরিদর্শন, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম, শিক্ষকদের উচ্চতর ডিগ্রি লাভের ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ, যুগোপযুগী সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের আয়োজন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়সহ গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ সব ধাপ নিয়ে কাজ করবে এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এশিয়া সেন্টারের সঙ্গে সিআইইউর ইন্সটিটিউট অব গভর্নেন্স, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (আইজিডিআইএস) শাখার মধ্যে এই বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দুই প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সিনিয়র শিক্ষক। 

অনুষ্ঠানে ‘হায়ার অ্যাডুকেশন, ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড কোরিয়া’ বিষয়ের ওপর ৩টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন সিআইইউর প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে সিউল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপকরাও পৃথকভাবে ৩টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এতে সিআইইউর স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, বিজনেস স্কুলের ডিন ড. মোহাম্মদ নাঈম আবদুল্লাহ, বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. নুরুল আবসার নাহিদ, সহযোগি অধ্যাপক ও আইজিডিআইএস এর পরিচালক ড. সৈয়দ মনজুর কাদের, ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও সিউল ইউনিভার্সিটির সাবেক ছাত্র কিহাক সাং, সিউল ইউনিভার্সিটির এশিয়া সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক সু জিং পার্ক, দক্ষিণ এশিয়া সেন্টার শাখার পরিচালক অধ্যাপক সুং ইয়ংসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কিহাক সাং শিক্ষা সেক্টরে সিআইইউর সঙ্গে যৌথ কার্যক্রম চালু করতে পেরে ভীষণ আনন্দিত বলে মন্তব্য করে বলেন, গুণগত মান বৃদ্ধিতে চট্টগ্রামের উচ্চশিক্ষায় যোগ হলো নতুন মাত্রা।

সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী এই ধরণের উদ্যোগ মেধা বিকাশে সহায়ক বলে উল্লেখ করে বলেন, এতে করে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণা কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হলো। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও একধাপ এগিয়ে যাবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।