খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বর্ণাঢ্য আয়োজন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে আজ ২৫ নভেম্বর। ২৯তম এ দিবস উপলক্ষে সকাল সাড় ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হাদী চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন। এরপর হাদী চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর হয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে দিয়ে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।

Khulna University photo---3
এরপর মুক্তমঞ্চে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কেক কাটেন। এ সময় ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রোভোস্টসহ বিভাগীয় প্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিলের। বিশ্ববিদ্যালয় মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় শহীদ মিনার চত্বর, অদম্য বাংলা ও কটকা স্মৃতিসৌধে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ক্যাম্পাসে আলাকসজ্জা। 

Khulna University photo-4

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ সালের ৯ মার্চ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৯০ সালের জুন মাসে জাতীয় সংসদে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯০’ পাশ হয়, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হয় ঐ বছর ৩১ জুলাই। এর পর ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষ ৪টি ডিসিপ্লিনে ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম ওরিয়েন্টেশন এবং ৩১ আগস্ট ক্লাশ শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনা হয়। ২০০২ সালর ২৫ নভেম্বর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও আড়ম্বরপূর্ণ পরিবশ পালিত হয় প্রথম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ২৫ নভেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। সেশনজট, সন্ত্রাস ও রাজনীতিমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের ২৯ বছর পূর্ণ করলো।