শাবিতে বেনামি শ্বেতপত্র বিতরণের সময় আটক ৩

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি)শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেসহ বিভিন্ন বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নামে অভিযোগ এনে আবারও বেনামে শ্বেতপত্র ২য় কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে বেনামে প্রকাশিত শ্বেতপত্র ২য় কিস্তি বিতরণের সময় সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীকালে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, সিলেটের শহরের গোয়াইটুলা এলাকার মোঃ কছির উদ্দিনের ছেলে মোঃ শামীম উদ্দীন, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার শাষণ গ্রামের বিরেন্দ্র কুমার চক্রবর্তীর ছেলে বিভাষ চক্রবর্তী এবং সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার বোয়ালিয়া বাজারের মৃত. দীনেশ দাশের ছেলে প্রান্ত দাশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন।

রেজিস্ট্রার বলেন, শ্বেতপত্র বিতরণের সময় সন্দেহভাজন ৩জনকে আটক করা হয়। পরে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জালালাবাদ থানা পুলিশের নিকট তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি এজহারভুক্ত করার জন্য সিলেট জালালাবাদ থানায় একটি অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখিত বিষয়সমূহ হলো, ‘গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তার নামে বেনামে ডাকযোগে  শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি অবগত করে ২১ জানুয়ারি জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৯৭০) করা হয়।’

পরবর্তীকালে গতকাল (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাভবন ই থেকে শ্বেতপত্র বিলি করার সময়  শ্বেতপত্রের ১৫টি খামসহ মোঃ শামীম আহমদ নামে একজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভাষ চক্রবর্তী ও প্রান্ত দাশ নামের আরও ২জনের কথা স্বীকার করেন আটককৃত ব্যক্তি। তারা নিজেদের ডেলিভারিম্যান দাবি করলেও এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি বিধায় তাদের পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জালালবাদ থানার ওসি মো. ওকিল উদ্দিন বলেন, ‘ফৈাজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতিও চলছে। এছাড়া আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের নামে বেনামে ২৪ পৃষ্টার ‘শ্বেতপত্র ১ম কিস্তি’ প্রকাশিত হয়। এতে উপাচার্যের দায়িত্ব পালনকালীন বিগত দুই বছরের বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম, শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতা, স্বৈরাচারী আচরণ, দুর্ব্যবহার, সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার, শিক্ষকদের প্রমোশন ও আপগ্রেডেশনে পক্ষপাতিত্বসহ মোট ৫৩টি অভিযোগ আনা হয়।