ওপেন সোসাইটি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্কে যুক্ত হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

BRACU সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং বার্ড কলেজের মতো প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাতারে উঠে এলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নাম। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ‘দ্য ওপেন সোসাইটি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্ক’ (ওএসইউএন) নামে নতুন একটি বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন হাঙ্গেরীয়-আমেরিকান সমাজসেবী জর্জ সরোস। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে সংগঠনটিতে যোগ দিয়েছে দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে আর্ন্তজাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে অসংখ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং, পিএইচডি। এরই ধারাবাহিকতায় বৈশ্বিক এই প্লাটফর্মে যোগ দিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।

আন্তর্জাতিক শিক্ষণ ও গবেষণার জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করবে নবগঠিত ‘দ্য ওপেন সোসাইটি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্ক’। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-গবেষকদের একই সাথে অনলাইন ও সরাসরি নেটওয়ার্ক কোর্স, ডিগ্রি প্রোগ্রামের মতো উচ্চতর শিক্ষা প্রসারে সহায়তা প্রদান, সুবিধাবঞ্চিত-বাস্তুহারা-শরনার্থীও প্রয়োজনশীল শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে সমাজে মুক্তচিন্তার প্রসার ঘটানোই এই নেটওয়ার্কের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এছাড়াও নতুন এই সংগঠনটি রাজনীতি সচেতনতা ও মুক্তচর্চায় বিশ্বাসী জ্ঞানী-গুণিদের এক সুতোয় বাধবে। সংগঠনের আত্মপ্রকাশকালে ১০০ কোটি ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন জর্জ সরোস।

বাংলাদেশের প্রথম আর্ন্তজাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে, একইসঙ্গে বেড়েছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। আন্তর্জাতিক ইন্টার্নশিপ, শিক্ষার্থী বিনিময়, নতুন গবেষণা চুক্তি, শিক্ষা প্রসারের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্লাটফর্মে নিজেদের নতুনভাবে তুলে ধরছে দেশের অন্যতম সেরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুনকে সমাবর্তন বক্তা ও ‘বান কি-মুন সেন্টার ফর গ্লোবাল সিটিজেনস’ এর মতো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিকীকরণের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।