অসহায় প্রাণী রক্ষায় রাবি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ

করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অফিস কার্যক্রমও বন্ধ থাকায় নেই কর্মকতা-কর্মচারীদের আনাগোনা। এতে ৭৫৩ একরের মতিহার ক্যাম্পাসে অনেকটা ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজমান। জনমানব শূন্য ক্যাম্পাসে সবচেয়ে বড় দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার পোষা কুকুরগুলো।

pic 4
খাদ্যাভাবে জীর্ণ হয়ে পড়া কুকুরগুলোকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়েরই তিন শিক্ষার্থী। যারা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসে অবস্থান করছেন। নিজেদের উদ্যোগে ফান্ড তৈরি করে কুকুরগুলোর জন্য নিয়মিত আহারের ব্যবস্থা করছেন তারা।

received_2842958732454284
কুকুরকে খাওয়ানোর ভিডিও ধারণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামে একটি ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন অন্যতম উদ্যোক্তা মাহমুদ সাকি। সেখানে তিনি জানান, দীর্ঘদিন অনাহারে থাকায় কুকুরগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। মানুষ দেখলে পেছনে ঘুরছে তারা, জামা কাপড় কামড়াচ্ছে।
বিষয়টি দেখে তিনি ও সহপাঠী প্রসেনজিৎ সিদ্ধান্ত নেন অনাহারে থাকা কুকুরগুলোর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করবেন। কিছু টাকা দিয়ে গঠন করলেন ‘ক্যাম্পাস পোষাপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্প’ নামে ফান্ড। সেখান থেকে তারা নিয়মিত কুকুরদের আহারের ব্যবস্থা করছেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবন, শহীদুল্লাহ কলা ভবন, রাকসু ভবন, মতিহার হল প্রাঙ্গণ, স্টেডিয়াম সংলগ্ন সিলসিলা রেস্তোরা, সিনেট ভবন, শহীদ জোহা চত্বর সংলগ্ন ব্যাংক, উপচার্যের বাসভবন, ইবলিশ চত্বর সংলগ্ন পুকুরপাড়ে প্রায় অর্ধশত কুকুর রয়েছে। যারা ক্যাম্পাস খোলা থাকাকালে শিক্ষার্থীদের এবং ভ্রাম্যমাণ দোকানের ভালো কিংবা উচ্ছিষ্টাংশ আহার করে দিনাতিপাত করতো।
মাহমুদ সাকি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিতভাবে ৪০-৪৫টি কুকুরকে দুইবেলা করে ডাল খিচুড়ি দিচ্ছি। এতে প্রতিদিন ১৫ কেজি চাল ও দুই কেজি ডাল লাগছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ক্যাম্পাস খোলার আগ পর্যন্ত এ প্রকল্প চালিয়ে যাব। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আমাদের দেখাদেখি সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এসব অসহায় প্রাণীদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসবে।’