করোনা আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ দেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কোনও শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হলে এবং তার আর্থিক অসচ্ছলতা থাকলে চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও রাজধানীর দুই হাসপাতালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে মিলবে প্রাথমিক চিকিৎসা।
বুধবার (১ এপ্রিল) বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ এসব তথ্য জানান।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমআরএমইউ) করোনার টেস্টসহ যাবতীয় চিকিৎসা ও ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে সকল প্রাথমিক চিকিৎসা পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উপাচার্য বলেন, ‘যদি কোনও শিক্ষার্থীর করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয় এবং তার আর্থিক সমস্যা থাকে, তবে তার চিকিৎসা খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। আমাদের ছাত্র টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারলো না এটা যেন না হয়। চিকিৎসা খরচ যাই লাগুক, আমরা ব্যয়ভার বহন করবো। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যোগাযোগ করেছি, আমাদের অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে।’ 
উপাচার্য আরও বলেন, ‘অনেক জায়গায় জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালে যদি কেউ সাধারণ জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে যায়, তাহলে সেখানে তাকে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ন্যাশনাল হাসপাতালের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের অ্যাম্বুলেন্সগুলো চালু রাখা হয়েছে।’
গ্রামে থাকা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘জেলাভিত্তিক হাসপাতালগুলোতে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া আছে। সেক্ষেত্রে যদি সুযোগ থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই সাহায্য করবো। এ বিষয়ে প্রক্টরকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমাদের কোনও শিক্ষক বা শিক্ষার্থী যদি করোনায় আক্রান্ত হয়, তারা যেন আমাদের দ্রুত জানায়। যেভাবেই হোক আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো।’
এবিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ বা অন্যান্য চিকিৎসা সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না। তাই উপাচার্য ও আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে যোগাযোগ করেছি। জ্বর, সর্দিসহ সকল সাধারণ ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ন্যাশনাল মেডিক্যালে হবে। তবে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।’