বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত নিবন্ধ লেখায় ঢাবি শিক্ষককে অব্যাহতি

ড. মোর্শেদ হাসানবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে পত্রিকায় নিবন্ধ প্রকাশ করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ৷ তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।’ অব্যাহতিপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের চাকরি না থাকলেও তিনি প্রভিডেন্ট ফান্ডের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
উল্লেখ্য, ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিভিন্ন গণমাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধুর শাসনামল নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য পরিবেশন করায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর তীব্র প্রতিবাদের মুখে একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটিরই একাধিক বৈঠক হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে হাজির হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধুর শাসনামল নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য একাধিক পত্রিকায় লেখার কথা স্বীকার করেন। তদন্তে তিরি দোষী সাব্যস্ত হন। একপর্যায়ে সিন্ডিকেটের বেশ কয়েকজন সদস্য তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও মোর্শেদ হাসান খানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা ঠিক করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের পরামর্শ চায় ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

পরে লিখিত সুপারিশ জমা দেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি সুপারিশপত্রে লেখেন, ‘আমার মতে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত। সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা যদি আমার সঙ্গে একমত পোষণ করেন সেক্ষেত্রে অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয়টি উল্লেখ করে তাকে পুনরায় কারণ দর্শানের নোটিশ প্রেরণ করা যেতে পারে।’