১০ মাস বের হন না উপাচার্য, বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগের অবস্থান

করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে হাজী মোহাম্মদ  দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হবার পর থেকেই প্রায় দশ মাস ক্যাম্পাসে অবস্থিত নিজ বাসভবন থেকে বের হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপাচার্যের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি দেখা না করায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনেই অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করে হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি কেনো জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল আলভি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বেশ কিছু দাবি নিয়ে উপাচার্যের সাথে দেখা করতে চাইছিলাম প্রায় দশ মাস থেকে। কিন্তু তিনি দেখা করা তো দূরের কথা, ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেন না। আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ক্রেডিট ফি কমানো, পরিবহন সংকট কিংবা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংকট কীভাবে কমানো যায় এই ব্যাপারগুলো নিয়েই কথা বলতে চাইছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।’

এদিকে ছাত্রলীগের আরেক নেতা মোরশেদুল আলম রনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের কর্মীরা সব সময় চাই ক্যাম্পাসকে এগিয়ে নিতে। কিন্তু উপাচার্য যিনি ক্যাম্পাসের অভিভাবক তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বাসভবন থেকে বের না হওয়ায় মহিলা হল, মেডিক্যাল সেন্টার, রাস্তার কাজসহ অবকাঠামোগত অনেক কাজে ধীর গতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এছাড়া হাবিপ্রবিতে শিক্ষক সংকট থাকায় আমরা চাই গত বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়াগুলো যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর যে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে তা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করা হয়। আর এ লক্ষ্যেই আজ আমরা উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি এখন পর্যন্ত আমাদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। উপাচার্যের সাথে আমরা দীর্ঘ সময় ধরেই সাক্ষাৎ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছি।’

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার  যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রপরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আলোচনার জন্য উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশ করেন এবং সন্ধ্যায় দিনাজপুর জেলার ইউএনও এবং এএসপি তার বাসভবনের যান।