জাবিতে চূড়ান্ত পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশনে ২ শিক্ষার্থী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তৃতীয় বর্ষের (৪৬তম ব্যাচ) চূড়ান্ত পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন একই বর্ষের দুই শিক্ষার্থী। 

রবিবার বিকাল তিনটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। 

অনশনে থাকা দুই শিক্ষার্থী হলেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নুর হোসাইন এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের নাঈম শেখ। এ সময় তাদের সঙ্গে একই বর্ষের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা একাত্মতা প্রকাশ করেন।

২৬ মাস ধরে তৃতীয় বর্ষে থাকলেও এখনও চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে না পারায় এ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান দুই শিক্ষার্থী। আগামী রোজার ঈদের আগে যেকোনও মূল্যে তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

অনশনে থাকা প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'গত তিন বছর যাবত তৃতীয় বর্ষে পরে আছি। পরীক্ষার জন্য উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিলে তিন কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন তিনি। এক মাস হলেও কোনও উত্তর আসেনি। আমরা হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। এ হতাশার কারণে যদি কেউ দুর্ঘটনা ঘটায়, তখন এর দায়িত্ব কি বিশ্ববিদ্যালয় নেবে?'

আমরণ অনশনে থাকা ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম শেখ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। একদিকে পরিবারের দায়িত্ব আরেকদিকে স্নাতক শেষ করতে না পারা। এমন পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। আমরা যেকোনও মূল্যে ঈদের আগে পরীক্ষা শেষ করতে চাই। সেটা হোক অনলাইনে বা অফলাইনে। তা না হলে এটা আমাদের জন্য চাপ হয়ে যাবে।'

এদিকে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানসহ প্রক্টরিয়াল টিম, প্রাধ্যক্ষ্য কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন শিক্ষকরা এসে অনশনরত শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু অনশনরত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার তারিখ না দেওয়া পর্যন্ত এখানে থাকবেন বলে জানান।

এর আগে তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। কোনও সাড়া না পাওয়ায় ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন তারা। উপাচার্য তিন কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন বললেও এক মাসেও কোন সিদ্ধান্ত দেননি বলে জানান অনশনরত শিক্ষার্থী নাঈম শেখ।

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।