তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল ইউল্যাবের ফ্যাক্টওয়াচ

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের তথ্য যাচাই কার্যক্রম ‘ফ্যাক্টওয়াচ’ বাংলাদেশের প্রথম তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্কের স্বীকৃতি পেয়েছে। পয়েন্টার ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজমের অঙ্গসংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) এই স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে ফ্যাক্টওয়াচ প্রথম বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বজুড়ে ৮৫টি সক্রিয় আইএফসিএন স্বীকৃত তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম লেখালো। এই তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হয় এমন তথ্য যাচাই কার্যক্রমের সংখ্যা মাত্র দু’টি।

পয়েন্টারের তথ্য যাচাই কার্যক্রম পলিটিফ্যাক্ট ২০০৯ সালে পুলিৎজার পুরস্কার  পাওয়ার পর থেকে ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য-যাচাই সাংবাদিকতায় একটি গ্রহণযোগ্য ধারা হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাপী স্বাধীন ও মানসম্মত তথ্য যাচাই কার্যক্রম পরিচালনা এবং পারস্পরিক যোগাযোগ সুদৃঢ় করার লক্ষে ২০১৫ সালে আইএফসিএন প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি যে কত জরুরি উদ্যোগ ছিল, তারই প্রমাণ মেলে এ বছর তার নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়ন পাওয়ার ঘটনায়।

আইএফসিএন মূলত পাঁচটি নীতির ভিত্তিতে কোনও তথ্য যাচাইকারী উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়। এগুলো হলো:

  • নিরপেক্ষতা এবং ন্যায্যতা
  • তথ্যের উত্সের গুণগতমান ও স্বচ্ছতা
  • অর্থায়ন ও সংস্থার স্বচ্ছতা
  • যাচাইপদ্ধতির মান এবং স্বচ্ছতা
  • উন্মুক্ত এবং সৎ সংশোধন নীতি

ফ্যাক্টওয়াচ প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালে, ঢাকাস্থ আমেরিকান সেন্টারের প্রাথমিক অর্থায়নে। বর্তমানে এটি ইউল্যাবের গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ক্রিটিকাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এর নেতৃত্বে আছেন ইউল্যাবের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কবি ও লেখক সুমন রহমান।

আইএফসিএন এর স্বীকৃতির মাধ্যমে ফ্যাক্টওয়াচ যে তালিকায় প্রবেশ করেছে, তাতে আরও আছে এপি, এএফপি, ফুলফ্যাক্ট এবং রয়টার্সের মতো প্রথিতযশা প্রতিষ্ঠান।

ফ্যাক্টওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা ড. সুমন রহমান বলেন, ‘এটি একটি বিরল অর্জন। আমরা একাডেমিক পরিসরে ছাত্রদের নিয়ে তথ্য যাচাই নিয়ে কাজ করে এ বিষয়ে দুনিয়ার সবচে মর্যাদাবান সংগঠন থেকে স্বীকৃতি পেলাম। ইউল্যাবের ছাত্রদের হাতে বানানো ফ্যাক্টওয়াচ এখন তথ্য যাচাইয়ের বৈশ্বিক মানচিত্রে শীর্ষস্থানীয় অনেক গণমাধ্যমের সাথে একই কাতারে দাঁড়িয়ে। একে ধরে রাখতে হলে আগামীতে আমাদের কার্যক্রম আরও জোরালো ও পেশাদারভাবে করতে হবে।’

ফ্যাক্টওয়াচের ওয়েব ঠিকানা: https://www.fact-watch.org/web/