‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা’

করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ থেকে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় বন্ধ রয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। এরপর ওই বছরের মে মাস থেকে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়া শুরু হয় হাবিপ্রবিতে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার অনলাইন পরীক্ষায় ঝুঁকছে উত্তরবঙ্গের এই বিদ্যাপীঠ।

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ মেয়াদী সেশন জট এড়াতে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে সোমবার (১৭ মে) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. বিধান চন্দ্র হালদার।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরীক্ষা অনলাইনে নিতে প্রদত্ত রূপরেখায় বেশ কয়েকটি পদ্ধতির কথা উঠে এসেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সৃজনশীল কাজ, বহু নির্বাচনী প্রশ্ন, নির্ধারিত সময় ধরে শ্রেণি পরীক্ষা (ক্লাস টেস্ট) ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া। এসব পরীক্ষা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের ডিভাইসের (ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন) ক্যামেরা ও মাইক্রো ফোন চালু থাকতে হবে।

এ ব্যাপারে রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার জানান, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় আছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অনলাইন পরীক্ষার দিকেই এগুবে হাবিপ্রবি।

অনলাইনে পরীক্ষার ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত পরীক্ষার বিকল্প হিসেবে ভাইভা এবং ক্রিয়েটিভ এসাইনমেন্ট দেওয়া হতে পারে। ল্যাব কোর্সের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ল্যাব পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। পরীক্ষার নিয়মনীতি নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।