মাঠ থেকে সরানো হবে পিলার, জবি প্রশাসনকে ডিএসসিসির আশ্বাস

পুরান ঢাকার ধূপখোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) খেলার মাঠ থেকে সিটি কর্পোরেশনের মার্কেট নির্মাণের জন্য বসানো পিলারগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে হবে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

সোমবার (২১ জুন) বিকেল ৩টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়রের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মেয়র তাপসের সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকেই এমনই আশ্বাস মিলেছে বলে গণমাধ্যমকে জানান জবি উপাচার্য।

সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠকের অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘উনি বললেন, কোনও অসুবিধা নেই। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করবে, পিলার সরানোর ব্যবস্থা করবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি না নিয়ে মাঠে পিলার বসানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠটি আমাদের নামে রেজিস্ট্রেশন করা নেই। সিটি কর্পোরেশনের মাস্টারপ্ল্যানের একটি অংশ হিসেবে তারা মাঠ সংস্কার করে আরও উন্নত করবে। আমাদেরও খেলার সুযোগ থাকবে সেখানে। এখন যেভাবে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করছে সেভাবেই করবে।’

সভায় উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তাফা কামাল বলেন, ‘আলোচনায় সিটি কর্পোরেশন মেয়র ছাড়াও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। আশ্বাস পেয়েছি, আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা করবে।’

এ ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, রেজিস্টার ইঞ্জিনিয়ার ড. ওয়াহিদুজ্জামান, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে মেয়র ছাড়াও প্রধান নির্বাহী, চিপ ইঞ্জিনিয়ার প্রমুখ।

এর আগে চলতি মাসের ৫ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠের চারদিকে সাতটি স্থানে ছোট ছোট রড-সিমেন্ট দিয়ে পিলার বসানো হয়েছে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি রবিবার (২১ জুন) ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ৭ একর জমির ওপর ধূপখোলা খেলার মাঠটিতে ১৯৮৪ সালে এরশাদের শাসনামলে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। তার এক ভাগ দেওয়া হয় তৎকালীন জগন্নাথ কলেজকে। আর একটি অংশ ‘ইস্ট অ্যান্ড খেলার মাঠ’ নামে একটি ক্লাবের কর্তৃত্বে রয়েছে। অপর অংশটি রাখা হয় জনসাধারণ খেলার জন্য। মাঠটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একমাত্র খেলার স্থান। যদিও এটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে অবস্থিত এবং মাঠটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র সমাবর্তনও।