জলাবদ্ধতায় বেহাল কবি নজরুল কলেজ

জলাবদ্ধতার নোংরা পানি আর আবর্জনার স্তূপে বেহাল অবস্থা রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কবি নজরুল সরকারি কলেজের। কলেজের অভ্যন্তরে এবং বহির্ভাগে যেসকল ড্রেন রয়েছে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করার ফলে জন্ম নিচ্ছে মশা। কলেজের সম্মুখে নর্দমা আর ময়লা আবর্জনার স্তূপ। নর্দমা এবং ময়লার স্তূপ দেখেও নির্বাক কলেজ প্রশাসন কিংবা সিটি কর্পোরেশন।

সামান্য বৃষ্টি হলেই কলেজের সম্মুখে ড্রেনের পানি উপচে পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই জলাবদ্ধতার নোংরা পানির দুর্গন্ধে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থী এবং জনসাধারণ। নিয়মিত এ সকল ড্রেন পরিষ্কার না করার ফলেই মূলত এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব নোংরা পানিতে জন্ম নেয় মশা। কলেজের অভ্যন্তরেও ড্রেনে পানি জমে রয়েছে। ফলে মশার উপদ্রব ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

কবি নজরুল সরকারি কলেজের অভ্যন্তরে ডিএসসিসি কর্তৃক মশা নিধনের জন্য প্রতিদিন ধোঁয়া দিলেও জলাবদ্ধতা পরিষ্কারের বিষয়ে নেই কোনও উদ্যোগ। কলেজ সম্মুখের ড্রেন পরিষ্কার করতে কিংবা জলাবদ্ধতায় সৃষ্ট নোংরা পানি অপসারণে কলেজ প্রশাসন ও নির্বাক ভূমিকা পালন করছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কলেজে অধ্যয়নরত হাজারো শিক্ষার্থী এবং জনসাধারণকে।

কবি নজরুল সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কলেজে এসেছি। কলেজের সম্মুখের আবর্জনা আর জলাবদ্ধতা নোংরা পানির ওপর দিয়ে কলেজে প্রবেশ করেছি। জলাবদ্ধতায় যে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তাতে করে কলেজের সামনে দিয়ে আসতেই অনেক কষ্ট হয়। কলেজের অভ্যন্তরের ড্রেন গুলোও পরিষ্কার নেই। কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিত জলাবদ্ধতায় আটকে থাকা নোংরা পানি খুব দ্রুত অপসারণ করা এবং ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা।

এ বিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম বলেন, আমি কলেজে একেবারেই নতুন। জলাবদ্ধতা আমি এখনও দেখিনি। তবে যদি জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে তাহলে তা নিরসনে কলেজ প্রশাসন অতি দ্রুত কাজ করবে। এছাড়া তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতাও চেয়েছেন।