অনলাইনে যেভাবে হবে বুয়েটের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্নাতক জানুয়ারি-২০২১ টার্মের ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অনলাইন এই পরীক্ষা এবং ‘কনটিনিউয়াস অ্যাসেসমেন্ট’ মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেটার নির্ধারণ করা হবে। শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৬৮তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানুয়ারি ২০২১ টার্মের ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী নেওয়া হবে। 

নীতিমালায় অনলাইনে পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়:
এলএমএস ও ভার্চুয়াল মিটিং সফটওয়্যারের (জুম, মাইক্রোসফট টিম ও মুডল) মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হবে। সব কোর্সের জন্য টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার মোট সময়কাল হবে ২ ঘণ্টা এবং পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার পর সর্বোচ্চ ১৫ মিনিটের মধ্যে এলএমএস সফটওয়্যারের (মাইক্রোসফট টিম ও মুডল) মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে তাদের উত্তরপত্র জমা দিতে হবে। 

প্রতিটি পরীক্ষা কক্ষের (অনলাইন মিটিং অ্যাপে) জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি গ্রুপ বা টিম গঠন করে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং প্রতিটি গ্রুপ বা টিমের জন্য কমপক্ষে দুজন শিক্ষক পরিদর্শক বা Invigilator হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রশ্নপত্রের ‘সেকশন এ’ এবং ‘সেকশন বি’ একইসঙ্গে আপলোড করা হবে। 

পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার খাতা ও তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ দৃশ্যমান রেখে পরীক্ষার্থীকে সার্বক্ষণিকভাবে পরীক্ষায় ব্যবহৃত একটি ডিভাইসের (ডেস্কটপ/ল্যাপটপ/আইপ্যাড বা স্মার্টফোন) ক্যামেরা চালু রেখে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এছাড়া পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্র দেখা বা স্ক্যান করা কিংবা উত্তরপত্র আপলোড করার জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থী একটি অতিরিক্ত ডিভাইস সার্বক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে রাখবেন।

পরীক্ষার নিয়মে আরও বলা হয়, পরীক্ষা চলাকালে কোনও শিক্ষার্থীর প্রক্টোরাল ক্যামেরা বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা কোনও শিক্ষার্থী প্রক্টোরাল ক্যামেরার দৃশ্যমান এলাকার বাইরে গেলে, তা পরীক্ষার তদারককারীগণ তাৎক্ষণিকভাবে রেকর্ড রাখবেন। বিভিন্ন কারিগরি সমস্যা সমাধানের জন্য অনলাইনে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ করার সময় একটি কারিগরি কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে কাজ করবেন। 

মূল্যায়ন পদ্ধতি: 
অনলাইনে অনুষ্ঠিত টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা এবং Continuous Assessment মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেটার গ্রেড প্রদান করা হবে। ক্লাসে উপস্থিতির জন্য বরাদ্দকৃত ১০ শতাংশ নম্বর বিভাজন অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহাল থাকবে।

শিক্ষার্থীদের ফলাফল বা গ্রেড নির্ধারণকালে কনটিনিউয়াস অ্যাসেসমেন্টের (ক্লাস অ্যাটেনডেন্স, ক্লাস টেস্ট বা ক্লাস কুইজ, অ্যাসাইনমেন্ট, ভাইভা প্রেজেন্টেশন) জন্য ৩০ শতাংশ নম্বর এবং টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার জন্য ৭০ শতাংশ নম্বর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহাল থাকবে।