‘১৫ আগস্টের ঘটনা ছিল একটি প্রতিবিপ্লব’

‘১৫ আগস্টের ঘটনা কোনও ব্যক্তিকে হত্যা নয়, এটি ছিল একটি প্রতিবিপ্লব, যা আজও বাংলাদেশে প্রবাহমান।’ রবিবার (১৫ আগস্ট) বিকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু পরবর্তী বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বক্তারা একথা বলেন।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কী বলেছেন আর কী বলেননি সেটি আমি অন্য কারও কাছ থেকে নয়, আমি নিজেই শুনেছি। ২৭ বছর ধরে কারা আমাদের শত্রু আর কারা মিত্র তা আমাদের একটা বা দুটো প্রজন্মকে শেখাতে পারিনি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক নিউজ বাংলার সম্পাদক স্বদেশ রায় বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেটি কোনোমতেই কোনও ব্যক্তিকে বা কোনও রাষ্ট্রপতিকে হত্যা নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে ছিল একটি প্রতিবিপ্লব। কারণ যে ঘটনার মধ্য দিয়ে একটি জাতির সংবিধান বদলে যায়, ওই ঘটনাকে কখনোই একটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। প্রতিবিপ্লবীরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আমাদের সংবিধানে পরিবর্তনগুলো এনেছিল, যার ভেতর দিয়ে তারা প্রতিবিপ্লবটিকে একেবারে সাংবিধানিকভাবে বাস্তবায়িত করেছিল।’

ইনস্টিটিউট অফ সোশাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ কলকাতার পরিচালক অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণের পরবর্তীকালে যে আন্দোলন চলছিল, সেই আন্দোলন কিন্তু আজও বাংলাদেশে প্রবহমান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমরা কীভাবে বাঁচিয়ে রাখবো, এই ধর্ম নিরপেক্ষতা বাঁচিয়ে রাখবো– সেটা নিয়ে আমাদের ভাবনা-চিন্তা করতে হবে। শত্রুর বিরুদ্ধে, অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকটিভ হতে হবে। তাহলেই আমরা এই প্রতিবিপ্লবী শক্তিকে ভাঙতে পারবো।’

নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল কাদের ও সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বুশরা জামানের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন– জবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আনোয়ারা বেগম, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিপ্রা সরকার।