গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: হাবিপ্রবির আসন সংখ্যা, বিভাগ ও অনুষদ

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও (হাবিপ্রবি) এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাবিপ্রবির ৮টি অনুষদে মোট আসন সংখ্যা ২০০৫টি।

এর মধ্যে কৃষি অনুষদে ৩৭৫টি, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ৭০টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে ৭০টি, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিনিউকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগে ৭০টি, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগে ৭০টি, ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ৭০টি, মার্কেটিং বিভাগে ৭০টি, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ৭০টি আসন রয়েছে।

ফিশারিজ অনুষদে আসন রয়েছে ১১০টি, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৬০টি, এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৬০টি, আর্কিটেকচার বিভাগে ৩৫টি, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০টি এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০টি আসন রয়েছে।

এছাড়াও ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদে আসন রয়েছে ১০০টি, রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগে ৭৫টি, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ৭৫টি, গণিত বিভাগে ৮০টি, পরিসংখ্যান বিভাগে ৮০টি, ইংরেজি বিভাগে ১০৫টি, অর্থনীতি বিভাগে ১০৫টি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ১০৫টি এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ৩৫টি আসন রয়েছে।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) দিনাজপুর জেলার বাঁশেরহাট নামক স্থানে অবস্থিত একটি সরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে থাকে।

গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী) এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৫ আগস্ট) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে আবেদন করেছেন, সবাই চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ পাবেন। বিজ্ঞান বিভাগে ১ লাখ ৩১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে মোট ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪০৬ শিক্ষার্থী প্রাথমিক আবেদন করেন। এতে বিজ্ঞান বিভাগে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১ জন, মানবিক বিভাগে ১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৩ এবং বাণিজ্য বিভাগে আবেদন করেন ৫৮ হাজার ৬৩২ শিক্ষার্থী।

নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। এ বছর গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় মোট আসন সংখ্যা প্রায় ২৩১০৪টি।