রাবিতে ১৩৮ নিয়োগ: শেষ পর্যায়ে তদন্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের শেষ কর্মদিবসে দেওয়া নিয়োগের অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অর্থনৈতিক লেনদেন অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। 

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও ইউজিসির পরিচালক (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) মো. জামিনুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, করোনার কারণে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এ কারণে সময় বাড়িয়ে নিয়েছিলাম। তদন্ত শেষ হয়েছে। আগামী রবি অথবা সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো। 

তদন্তে নিয়োগে অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক লেনদেন পাওয়া গেছে কি-না সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জামিনুর রহমান।

গত ৬ মে  শেষ কর্মবিদসে শিক্ষাম ন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৩৮ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ দেন আব্দুস সোবহান। এ দিন সন্ধ্যায় এই নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে এর সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসনেকে আহ্বায়ক করা হয়। এ ছাড়া ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ জামিলুর রহমানকে সদস্য সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ যুগ্ম সচিব জাকির হোসেন আখন্দকে সদস্য করা হয়। তদন্ত কমিটি ২৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেন। 

তবে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে পরবর্তীতে গত ২৮ জুন তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। নতুন কমিটিতে অধ্যাপক আলমগীর হোসেনকে বাদ দিয়ে তার জায়গায় ইউজিসিরি সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজকে আহ্বায়ক করা হয়। নতুন কমিটিকে ১৩৮ নিয়োগের অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অর্থনৈতিক লেনদেন অনুসন্ধান করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু দুই মাসের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।