পাঁচদিনের মেস ভাড়া বাঁচাতে জোরপূর্বক হলে ঢুকেছেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের জন্য হল খুলবে আগামী ৫ অক্টোবর। কিন্তু আজ (১ অক্টোবর) বিকাল থেকে অমর একুশে হল এবং ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলে জোরপূর্বক ঢুকতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, চারদিন অন্য কোথাও থাকলে সারা মাসের ভাড়া গুনতে হবে।

জোর করে হলে ওঠা শিক্ষার্থীরা আজ (১ অক্টোবর) থেকেই হল খোলার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু ঢাবি প্রশাসন ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষার অনুরোধ করে তাদের।

এ প্রসঙ্গে অমর একুশে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম. সৈয়দ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা হলে উঠেছে। তারা আপাতত হলে অবস্থান করছে। আমরা তাদের ৫ অক্টোবর থেকে হলে ওঠার জন্য অনুরোধ করেছি। উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার বিকালে অমর একুশে হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। বিকালের পরও শিক্ষার্থীরা একেক করে নিজেদের আসবাবপত্র নিয়ে হলে প্রবেশ করেন।

চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর কথায়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হলে পাঁচদিনের জন্য পাঁচ-ছয় হাজার টাকা মেস ভাড়া দিতে হবে। এর কোনো মানে হয় না।’

জোরপূর্বক হলে ঢোকা শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘আমরা স্যারের (প্রভোস্ট) সঙ্গে কথা বলেছি, তাকে আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। স্যার আমাদের হলে উঠে যেতে বলেছেন। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’