দেড় বছর পর ঢাবিতে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি স্লোগান

দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শুরু হয়েছে সশরীরে ক্লাস। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরাকে উপলক্ষ করে দীর্ঘদিন পরে ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিনে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিয়েছে ক্যাম্পাসের অন্যতম প্রধান দুটি ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমানসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

তবে এর আগে থেকে সেখানে অবস্থান নিতে দেখা যায় ছাত্রলীগকে। ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার প্রায় তিন-চার শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রদল প্রবেশের পর দুই পক্ষের স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে মধুর ক্যান্টিনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোনোধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এরপর বেলা ১১টার দিকে মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে ছাত্রদল।

এ বিষয়ে ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা মধুর ক্যান্টিনে যাইনি। এর আগে আমরা নিয়মিত যেতাম। এখন ক্যাম্পাস খুলেছে, ক্লাস শুরু হয়েছে তাই আমরা আবার মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান নিয়েছি। এখন থেকে আমরা নিয়মিত মধুর ক্যান্টিনে বসবো।

ঢাবি শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আজ থেকে ক্যাম্পাসের সব কিছু আগের রূপে ফিরে এসেছে, শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখরিত ক্যাম্পাস। তাই আমরাও মধুর ক্যান্টিনে বসেছি, আড্ডা দিয়েছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ক্যাম্পাসে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করব। মধুর ক্যান্টিনে আমরা যে জায়গা নিয়ে বসি, সেটা সম্পূর্ণ পাইনি। বেশিরভাগ অংশ ছাত্রলীগের দখলে ছিল। আমাদের চারপাশে ছাত্রলীগের স্লোগান দিচ্ছিল, আমরাও স্লোগান দিয়েছি। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাহিত্য সম্পাদক আসিফ তালুকদার বলেন, ‘মধুর ক্যান্টিনে আমরা আমাদের নিয়মিত কর্মসূচি পালন করেছি। ছাত্রদলের কাউকে আমরা কোনো বাধা দেইনি। আমাদের যে সংখ্যক নেতা-কর্মী মধুর ক্যান্টিনে ছিলেন, আমরা চাইলে পুরো ক্যান্টিন কানায় কানায় পূর্ণ করে রাখতে পারতাম। সেটি হলে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্যান্টিনে ঢুকতেই পারতো না। কিন্তু আমরা তা করিনি। আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব আগেও ছিল, সামনেও থাকবে। ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের কাছ থেকেও আমরা দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি।’