চবি ছাত্রলীগের ১২ নেতাকর্মী সাময়িক বহিষ্কার

সংঘর্ষে জড়িত থাকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ১২ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে ছয় মাস আর দুই জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রবিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব হেলথ, রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়।

বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের মধ্যে ছয় জন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী। বাকিরা সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকায় ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে আমাদের এই সিদ্ধান্ত। বহিষ্কৃতরা এই সময়ে ক্যাম্পাসে বা হলে অবস্থান করতে পারবে না। যাদের ছাত্রত্ব শেষ তাদেরকে হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে।

সভাপতির অনুসারীদের মধ্যে এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মির্জা কবির সাদাফ। ছয় মাসের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন—লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের অহিদুজামান সরকার, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল ইসলাম, আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের খালেদ মাসুদ, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তানজিল হোসেন ও আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তৌহিদ ইসলাম।

সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন রসায়ন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল আলম নায়েম। ছয় মাসের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন—অর্থনীতি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ফরহাদ, ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জুনায়েদ হোসেন জয়, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আকিব জাভেদ, আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. নাঈম ও বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সাইফুল ইসলাম।

ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় আহ্বায়ক ছিলেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। সভায় আমন্ত্রিত সদস্য উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. বেনু কুমার দে, সদস্য সচিব প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।