রিট তোলার শর্তে রাবি শিক্ষককে সভাপতি নিয়োগের প্রস্তাব

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগরকে রিট তুলে নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিনিময়ে তাকে সভাপতি নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে অধ্যাপক আলী আসগর বলছেন, তিনি রিট পিটিশন তুলবেন না।

গত ৭ অক্টোবর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের মতামত অনুসারে ওই চিঠি ইস্যুর তারিখ হতে সাত দিনের মধ্যে রিট পিটিশনটি তুলে নেওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অফিসে (রেজিস্ট্রার দফতর) দাখিলের অনুরোধ করা হলো। রিট পিটিশন তুলে নেওয়া হলে মু. আলী আসগরকে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে নিয়োগ দেওয়া হবে। 

এ ব্যাপারে অধ্যাপক আলী আসগর বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রস্তাবে রাজি না। নিঃশর্তে বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করতে চাই। এটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ অনুযায়ী আমার অধিকার।’

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের পরে বিভাগের সভাপতি হিসেবে আলী আসগর নিয়োগ পাওয়ার কথা। সাইফুল ইসলামের সভাপতির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ৮ মে। কিন্তু তার পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জ্যেষ্ঠতার ক্রম লঙ্ঘন করে অধ্যাপক আলী আসগরের পরিবতর্তে আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি নিয়োগ দেয়।

এই ঘটনায় ওই বছরের জুনে হাইকোর্টে রিট করেন অধ্যাপক আলী আসগর। রিট পিটিশনে ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৭৩ অনুযায়ী ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ প্রদানে কেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের পরামর্শে রিট তোলার অনুরোধ করেছি। সাত কার্যদিবস শেষ হয়েছে। অধ্যাপক আলী আসগর এখনও উত্তর জানাননি। এখন লিগ্যাল সেলের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।