কুবির ক্যাফেটেরিয়ায় বিছানা পেতেছেন আনসার সদস্যরা

করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম ও পরীক্ষা। তবে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালেয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া। জানা গেছে, সেখানে বিছানা পেতে বাস করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও ক্যাফেটেরিয়া না খোলায় খাবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার প্রয়োজনীয় টেবিল, চেয়ার ও অন্যান্য জিনিসপত্র অযত্নে পড়ে আছে। ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে পাতা হয়েছে সারি সারি বিছানা। সেখানে থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ দেওয়া অস্থায়ী আনসার সদস্যরা।

কুবির ক্যাফেটেরিয়াবিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. ছাদেক হোসেন মজুমদার জানান, আনসারদের থাকার জন্য যে শেডটি ছিল সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরামর্শেই সাময়িকভাবে ক্যাফেটেরিয়ায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমার জানামতে শেডটি ঠিকঠাক করার কাজ দ্রুত এগাচ্ছে। শেড নির্মাণ হলে আনসার সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হবে।

এদিকে ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকায় বাইরের হোটেল ও দোকানগুলো থেকে উচ্চমূল্যে নিম্নমানের খাবার কিনে খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর আগে পরীক্ষা চলাকালেও ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ ছিল। ওই অবস্থায় বেশি খরচে বাইরের দোকান থেকে খাবার কিনে খেতে হয়েছে। এখন নিয়মিত ক্লাস শুরু হলেও ক্যাফেটেরিয়া না খোলায় একই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

কুবির ক্যাফেটেরিয়াক্যাফেটেরিয়া বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অসুবিধা বুঝতে পারছি। শিগগিরই ক্যাফেটেরিয়া খুলে দেওয়া ব্যবস্থা করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা যেন স্বাস্থ্য সম্মত খাবার পান, সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে বলে জানান তিনি। 

ক্যাফেটেরিয়া চালুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ১৫-১৬ দিনের মধ্যেই আমরা ক্যাফেটেরিয়াটি চালু করতে পারবো। আনসারদের শেড ঠিক করে তাদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হবে।