কুবির ভর্তিতে জিপিএ নম্বর নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের ক্ষোভ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মেধাতালিকার ২০০ নম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ওপর ১০০ নম্বর রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুবিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। যার মধ্যে ১০০ নম্বর আসবে ভর্তি পরীক্ষা থেকে। বাকি ১০০ নম্বর আসবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল থেকে। করোনার কারণে উচ্চ মাধ্যমিকে অটোপাস দেওয়ায় মাধ্যমিকের ফলাফলেই নির্ধারণ হবে ওই ১০০ নম্বর।

মেধা তালিকা তৈরির এই পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও ভর্তিচ্ছুদের মাঝে।

গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অনন্যা অনি বলেন, ‘জিপিএতে ১০০ নম্বর রেখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যেটা কম জিপিএ প্রাপ্ত কিন্তু পরীক্ষায় ভালো স্কোর পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগে বলেছিল অটোপাসের ফল নয়, গুচ্ছের ফল দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন হবে। তাহলে আজকে আমাদের এতো দুর্ভোগ কেন?’

কুবি শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, ‘কুবিতে গুচ্ছ ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে জিপিএ’র ওপর ১০০ নম্বর ধরা হয়েছে। যেখানে আগের নম্বর ছিল ৫০, আর অটোপাসের ফলাফল ধরেছে ১০০। এমন উদ্ভট সিদ্ধান্ত
একজন কুবিয়ান হিসেবে মেনে নিতে পারছি না।’

জিপিএ’র ওপর ১০০ নম্বর রাখার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাই আমরাও গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উপস্থাপন করবো। সেখান থেকে গৃহীত সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, সারাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ’র ওপর ৫০ নম্বর হিসাব করা হতো।