‘রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের ফলে সাম্প্রদায়িকতা বেড়েছে’

রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের ফলে সাম্প্রদায়িকতা বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরে তা নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান তা পুনরায় চালু করেন—বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে "স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আহবান: সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ রুখে দাঁড়াও, সমতা ও সহঅবস্থানের বাংলাদেশ নিশ্চিত করো" ব্যানারে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, "স্বাধীনতার সময় যে সাম্প্রদায়িকতা ছিল এখন তার চেয়ে দশগুণ বেশি। রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের ফলে সাম্প্রদায়িকতা বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরে তা নিষিদ্ধ করেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর জিয়াউর রহমান তা পুনরায় চালু করেন।

তিনি আরও বলেন, "মাদ্রাসা শিক্ষাকে বাতিল নয়, যুগোপযোগী করতে হবে। এমনভাবে করতে হবে যেন অন্য সকল বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। হেফাজতের দাবি মেনে নেওয়ার মাধ্যমে আমরা একটি সাম্প্রদায়িক প্রজন্ম গড়ে তুলছি। আমাদের ধর্ম শিক্ষার দরকার আছে, তবে তার চেয়ে বেশি দরকার নৈতিক শিক্ষার।"

এসময় সমাবেশ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম ও গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া কমানো; সার্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু; জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন; পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন; রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।

এসময় সম্মিলিত সঙ্গীত পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন সমস্বর, আবৃত্তি করেন তারিক আলী মিলন, সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন 'ভিন্নধারা'। সমাবেশে বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত সাম্প্রদায়িক হামলার ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য পঙ্কজ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ সানোয়ার হোসেন, রোকেয়া কবির, ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, রেখা চৌধুরী, সালেহ আহমেদ।

এসময় ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেন এডভোকেট পারভেজ হাসেম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সানোয়ার হোসেন সামছি ও এ কে আজাদ।