সাংস্কৃতিক অঙ্গন সমৃদ্ধ হলে সকল ক্ষেত্রই সমৃদ্ধ হয়: ঢাবি উপাচার্য

সাংস্কৃতিক অঙ্গন সমৃদ্ধ হলে তার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রই সমৃদ্ধ হয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। উপাচার্য বলেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন এমন একটি অঙ্গন যা অন্যান্য অঙ্গনকে টেকসই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি জাতির সাংস্কৃতিক অঙ্গন সমৃদ্ধ হলে তার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রই সমৃদ্ধ হয়।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ৩ দিনব্যাপী জয়নুল উৎসবের উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, আমাদের শিল্প-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে আধুনিকায়ন ও সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে দিতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের অনবদ্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শিল্পাচার্যের আদর্শ ও শিল্প ধারণা অনুসরণ করার জন্য উপাচার্য চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিল্পকর্মের উন্নতি সাধনে আমাদের শিল্পীরা অনন্য অবদান রেখে চলছে। শিল্পাচার্যের আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে।

অনুষ্ঠানে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আহমেদ উল্লাহ এবং শিল্পাচার্য-পুত্র খায়রুল আবেদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কারুশিল্প বিভাগের অনারারি অধ্যাপক আব্দুস শাকুর শাহ্ এবং ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রমন শিব কুমারকে জয়নুল সম্মাননা-২০২১ প্রদান করা হয়।DSC_9096

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনসহ অতিথিরা শিল্পাচার্যের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।